কোরবানির দিন ১০ ঘণ্টার মধ্যে পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবেঃ চসিক মেয়র

কোরবানির দিন ১০ ঘণ্টার মধ্যে পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবেঃ চসিক মেয়র

 

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আসন্ন পবিত্র কোরবানির ঈদে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার মধ্যে নগরীতে জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে ।

এ লক্ষ্যে নগরীরকে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম চার জোনে ভাগ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী অফিসের কনফারেন্স রুমে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ কথা জানান।

মেয়র জানান, চার জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলরগণ হলেন- যথাক্রমে উত্তরে মো. এসারুল হক, দক্ষিণে আবদুল বারেক, পূর্বে শৈবাল দাশ সুমন  ও পশ্চিমে মো. ইসমাইল।

উত্তর জোনের অধীনে ওয়ার্ডগুলো হলো : ১,২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ১৫ ও ১৬ নং ওয়ার্ড। দক্ষিণ জোন : ২৩, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪১ নং ওয়ার্ড।পূর্ব জোন : ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ নং ওয়ার্ড।পশ্চিম জোন : ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নং ওয়ার্ড। বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী সার্বিক কাজের তত্ত্বাবধানে থাকবেন।

সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে সচিব খালেদ মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী, কাউন্সিলর মো. এসরারুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, স্পেসাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, সুদীপ বসাক, ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী জয়সেন বড়ুয়া, আবু শাহদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, বিপ্লব দাশ, মো. রেজাউল বারী ভূঁইয়া, মির্জা ফজলুল কাদের, শাহিনুল ইসলাম, নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন ।

সভার প্রারম্ভে মেয়র পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে তাদের প্রস্তুতি, সাজ-সরঞ্জাম, পর্যাপ্ত লোকবল ও গাড়ি সংগ্রহে আছে কিনা জানতে চান।

তিনি বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সুনাম রয়েছে। কাজেই এ সুনাম রক্ষা করতে হবে।মেয়র পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তাদের নগরীকে টাইম লাইনের মাধ্যে পরিচ্ছন্ন করতে যত ধরনের সহায়তা লাগে তা করা হবে জানিয়ে বলেন, আবর্জনা পরিষ্কারের কোন গাফিলতি বা অজুহাত মানা হবে না।

সভায় উপস্থিত উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী কোরবানির বর্জ্য অপসারণে কোন সমস্যা হবে না বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, কারণ করোনার  বিধি নিষেধের কারণে সড়কে যান চলাচল কম। তাই পরিচ্ছন্ন কাজে কোন সমস্যা হবে মনে হয় না। তবে আবর্জনা পরিস্কারে আমাদের ১৮৮টি গাড়ি ও ৪০টি ওয়াকিটকি লাগবে। কারণ কেন্দ্রীয়ভাবে আবর্জনা পরিষ্কারে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ওয়াকিটকির কোন বিকল্প নেই।

মোর্শেদ আলম বলেন, ওয়ার্ড পর্যায়ে কন্টেইনার মুভার ও পর্যাপ্ত টমটম গাড়ি সরবরাহের প্রয়োজন হবে। যদি তা না হয় আবর্জনা পরিস্কারে সমস্যা হবে।

প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মত যদি পরিচ্ছন্ন বিভাগের চাহিদাপত্র থাকে তাহলে আবর্জনা পরিষ্কারের ক্ষেত্রে গাড়ি সরবরাহে কোন সংকট হবে না।

সভাপতির বক্তব্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম কোন সমস্যা থাকলে তা দ্রুত সমাধান করতে বলেন।

তিনি বলেন, কোনভাবেই নির্দিষ্ট সময়সীমার বাইরে বর্জ্য অপসারণ করা যাবে না। এ ব্যাপারে পরিচ্ছন্ন বিভাগ, প্রকৌশলসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।