করোনা সংকটের মধ্যে হোটেল খোলার ক্ষেত্রে ১৫টি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
হোটেল খোলার ক্ষেত্রে দেওয়া ১৫ নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে
১. খোলার আগে মহামারি প্রতিরোধী সামগ্রী যেমন মাস্ক, জীবাণুমুক্ত করার সামগ্রী ইত্যাদি সংগ্রহ করতে হবে। আপদকালীন পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। আপদকালীন সংক্রমিত বস্তুর ডিসপোজাল এলাকা স্থাপন করতে হবে। সকল ইউনিটের জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণকে জোরদার করা।
২. কর্মীদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। প্রতিদিন কর্মীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক অবস্থা নথিভুক্ত করা এবং যারা অসুস্থতা অনুভব করবে তাদের সঠিক সময়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
৩. হোটেলে যারা ঢুকবেন তাদের তাপমাত্রা মাপার জন্য হোটেল লবিতে তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণকারী যন্ত্র স্থাপন করা এবং শুধুমাত্র স্বাভাবিক তাপমাত্রাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ঢুকতে দেওয়া।
৪. অফিসে বায়ু চলাচল বাড়ানো। সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এয়ার কন্ডিশনার স্বাভাবিক মাত্রায় চালানো। বিশুদ্ধ বাতাস চলাচল বৃদ্ধি করা। বের হওয়ার বাতাস যেন আবার ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা করা।
৫. বারবার হাতের সংস্পর্শে আসা দরজার হাতল ও অন্যান্য সর্বসাধারণের ব্যবহার্য সুবিধাসমুহ যেমন-এলিভেটর ও পাবলিক টয়লেট নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা। অতিথিদের রুমে যন্ত্রপাতি ও থালা-বাসন প্রত্যেকবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করা। খাবার থালাবাসন পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করার ওপর জোর দিতে হবে।
৬. লবি ও লিফটের প্রবেশপথ ফ্রন্ট ডেস্ক ও অতিথিদের বারান্দা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং সময়মতো ময়লা পরিষ্কার করতে হবে।
৭. গণশৌচাগারগুলোতে হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ লিকুইড সাবান প্রদান করা এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থার সাধারণ কার্যকারিতা নিশ্চিত করা।
৮. অতিথি এবং পরিদর্শনকারীদের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ফ্রন্ট ডেস্কের লাইনে ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করা।
৯. স্টাফদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা জোরদার করা। মাস্ক পরতে বাধ্য করা। হাতের হাইজিনের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। লবিতে এলিভেটরের প্রবেশপথে ফ্রন্ট ডেস্কে এবং এ ধরনের জায়গায় দ্রত শুকিয়ে যায় এ রকম হাত জীবাণুনাশক বা হাত জীবাণুনাশক ইন্ডাক্টিভ ডিভাইস স্থাপন করার ব্যবস্থা করা।
১০. সবাইকে হাঁচি দেয়ার সময় মুখ এবং নাক টিস্যু বা কনুই দিয়ে ঢাকতে হবে।
১১. অতিথিদের মাস্ক পরিধান করতে হবে।
১২. সেই সঙ্গে জমায়েত হওয়ার মতো কার্মকাণ্ড যেমন একসঙ্গে খাওয়া, প্রশিক্ষণ, মিটিং এবং আতিথেয়তা কমিয়ে দিতে হবে।
১৩. পোস্টার, ইলেকট্রনিক স্ক্রিন এবং বুলেটিন বোর্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্য জ্ঞান পরিবেশন জোরদার করা।
১৪. যদি নিশ্চিত কোভিড-১৯ রোগী থাকে তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে জীবাণুমুক্ত করা। সেই সঙ্গে এয়ার কন্ডিশনিং ও ভেন্টিলেশন সিস্টেমকে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এবং
১৫. মাঝারি ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে রেস্তোরাঁগুলোকে বিজনেস আওয়ার কমিয়ে আনতে হবে।