সৌদিতে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে নারীরা

সৌদি আরবে প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাচ্ছেন নারী ভোটাররা। আজ শনিবারের পৌর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকারও প্রয়োগ করবেন তারা। সৌদি আরবের ইতিহাসে এ ঘটনা নজিরবিহীন।

দেশটির নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোট নিবন্ধিত নারী ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার। যা সাড়ে ১৩ লাখ নিবন্ধিত পুরুষ ভোটারের সংখ্যার তুলনায় খুবই কম। তবে সংখ্যাকে গুরুত্ব না দিয়ে অংশগ্রহণটাকেই বড় করে দেখছেন সবাই।

সৌদির প্রথম নারী ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করেন সালমা আল-রাশেদ। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে করতে গিয়ে তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘খুব ভালো লেগেছে। পরিবর্তন অনেক বড় একটি শব্দ। তবে আমাদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ রয়েছে, নির্বাচনটি তা-ই নিশ্চিত করে।’

শুধু ভোটদান নয়, এবারই প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবেও নারীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেয়েছেন। দেশজুড়ে মোট ৫ হাজার ৯৩৮ জন পুরুষ প্রার্থীর বিপরীতে নারী প্রার্থীর সংখ্যা মোট ৯৭৮।

তবে নারী প্রতিদ্বন্দ্বীরা সরাসরি জনগণের সামনে আসার সুযোগ পাননি। প্রচারণার সময় তাদেরকে পর্দার আড়ালে থেকে প্রচারণার কাজ করতে হয়েছে, অথবা তাদের হয়ে কোনো পুরুষ প্রতিনিধি প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন।

সৌদি সাম্রাজ্যে নির্বাচন একটি বিরল ঘটনা। ১৯৬৫ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ৪০ বছরে একবারও কোনো ধরণের নির্বাচন হয়নি। এবারের নির্বাচনে দেশটির ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো জনগণ ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে যাবে।

নারীদের নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রথম নেন প্রয়াত সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, সৌদি নারীরা বিভিন্ন পদে উপযুক্ত মতামত ও পরামর্শ দিয়ে যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন।

গত জানুয়ারিতে মৃত্যুর আগে তিনি ৩০ জন নারীকে দেশটির সর্বোচ্চ উপদেষ্টা পরিষদ সুরা কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত করে যান।

বাদশাহ আবদুল্লাহর স্মৃতির প্রতি সম্মাননা হিসেবে তার সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

শনিবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের মোট ২ হাজার ১শ’টি আসনে লড়ার কথা। বাদশাহর নির্দেশে অতিরিক্ত ১ হাজার ৫০টি আসন যোগ করা হয়েছে। শনিবারের মধ্যেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।