রাজনীতিতে ফেরার খবর নাকচ করে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন কাটানো তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দিন আহমেদ এর সুযোগ্য পুত্র সোহেল সোমবার ফেসবুকে দেওয়া তার এক স্ট্যাটাসে এ কথা জানান।
বন্ধু ও শুভাকাঙ্খীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমার রাজনীতিতে ফিরে আসা নিয়ে মিডিয়ায় যে খবর প্রকাশ হচ্ছে তা সত্য নয়। ‘তাজউদ্দিন আহমেদ ও সাইয়েদা জোহরা তাজউদ্দিন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন’ এর যাত্রা শুরুর জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শুধু জনগণের অভিভাবকই নন, তিনি বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের নীতি ও আদর্শের রক্ষকও। তাই এ উদ্যোগে আমরা তাকে পাশে চাই।
এর পরপর অপর এক স্ট্যাটাসে নিরঙ্কুশ সমর্থনের জন্য অনুসারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সোহেল তাজ। এ স্ট্যাটাসে তাজউদ্দিন আহমেদ ও সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অনেক সেবামূলক কাজ করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন সোহেল তাজ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আমি আগেও অনুপ্রাণিত ছিলাম, এখনো আছি। আমার বাবা দেশের জন্য জীবন দিয়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন।
তাজউদ্দিন পরিবারের প্রতি ভালোবাসা, স্নেহ ও সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
গত শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে গিয়ে সাক্ষাত করেন সোহেল তাজ। এ সময় সেখানে বেশ আবেগঘন দৃশ্যের অবতারণা হয়। ওই সাক্ষাতের সময়কার খবর ও কয়েকটি ছবি ওই দিন রাতেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যমে। এরপর খবর ছড়ায়, রাজনীতিতে ফিরছেন সোহেল তাজ। আসছে কাউন্সিলে দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে তাকে।
কিন্তু সোমবারের ফেসবুক স্ট্যাটাসে ওই খবরের সম্ভাবনা নিজেই উড়িয়ে দিলেন সোহেল তাজ।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়ের পর ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি গঠিত মন্ত্রিসভায় সোহেল তাজকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করা হয়। এর পাঁচ মাসের মাথায় ২০০৯ সালে তিনি পদত্যাগ করেন।
ওই বছরেরই ৩১ মে তিনি পদত্যগ করে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন। কিন্তু তখন তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন বছর পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি চিঠি দেন তিনি। পাশাপাশি তিনি পদত্যাগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারিরও আবেদন জানান। সেই সময় থেকে তার ব্যক্তিগত হিসাবে পাঠানো বেতন-ভাতার যাবতীয় অর্থ ফেরত নেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয় ওই চিঠিতে। এরপর ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিলে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন সোহেল তাজ।
তিনি গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।