সুয়ারেজের চার, মেসির তিন৷ ভালেন্সিয়াকে ৭-০ উড়িয়ে দিয়ে কোপা দেল রে-র ফাইনালে পথে বার্সেলোনা৷ ‘এমএসএন’-এর এন অর্থাৎ নেইমার গোল না-পেলেও মেসি-সুয়ারেজের গোলের বন্যায় ভেসে গেল ভ্যালেন্সিয়া৷
দুরন্ত জয়ে কোপা দেল রে-র খেতাব ধরে রাখার লড়াইয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গেল বার্সা৷ আগামী সপ্তাহে সেমি-ফাইনালের ফিরতি পর্বে হিসেবটা পাল্টাতে হলে অসম্ভবকে সম্ভব করতে হবে ভ্যালেন্সিয়াকে৷ ঘটাতে হবে ফুটবল ইতিহাসের সেরা অঘটন।
শুরু থেকেই গোল উৎসবে মেতে ওঠে বার্সেলোনা। শুরুটা করেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লুইস সুয়ারেস, গোলটিতে দারুণ অবদান ছিল নেইমারের। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে মাঝ মাঠে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে ব্রাজিল অধিনায়ক অনেকটা দৌড়ে ডান দিক দিয়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়া সুয়ারেজকে পাস দেন। কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার।
পাঁচ মিনিট পর দ্বিতীয় গোলটিও আসে সুয়ারেজের পা-থেকে৷ ম্যাচের তৃতীয় গোল মেসির৷ ২৯ মিনিটে
আন্দ্রে ইনিয়েস্তার বাড়ানো বলে ডি বক্সের মাথায় আর্জেন্টিনা অধিনায়কের উদ্দ্যেশে আলতো ফ্লিক করেন নেইমার৷ নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন মেসি৷ পরে আরও দু’টি গোল ফিফার পাঁচবারের বর্ষসেরা তারকার।
বিরতির আগে আরও দুটি গোল পেতে পারতো বার্সেলোনা, কিন্তু দুর্ভাগ্য আর নেইমারের ব্যর্থতায় সেটা হয়নি। ম্যাচের ৫৮ ও ৭৪ মিনিটে আরও দুটি গোল করে হ্যাটট্রিক করেন মেসি৷
৫-০ গোলে এগিয়ে গেলেও আক্রমণের ঝাঁঝ কমেনি বার্সার। ফল পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে আরও দুটি গোল করেন সুয়ারেজ। ম্যাচে চার গোল উরুগুয়ে স্ট্রাইকারের৷ চার গোলে চলতি মরশুমে সুয়ারেজের গোলসংখ্যা ৩৩ ম্যাচে ৩৫টি।