ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের গিলন্ড এলাকায় এনএনবি পরিবহনের যাত্রী বোঝাই চলন্ত বাস আগুনে পুড়ে গেছে। এতে অন্তত ২০ যাত্রী সামান্য দগ্ধ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা-জখমে আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ১০ জন ও পাশের মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছয়জনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সোমবার সকালে বাসের ইঞ্জিন মাত্রাতিরিক্ত গরমে গ্যাস সিলিন্ডার পাইপ ছিন্দ্র হয়ে এই আগুন জ্বলে উঠে বলে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।
এদিকে, এ দুর্ঘটনার পরপরই মহাসড়কের প্রায় এক ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। দুই পাশে দীর্ঘ সারিতে আটকে পড়ে যানবাহন। এতে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌছতে বিলম্বের শিকার হতে হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানায়, সকাল আটটার দিকে ঢাকার গাবতলী থেকে ওই বাস (যশোর ব ৫৪১) যাত্রী বোঝাই করে পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে পথিমধ্যের ওই স্থানে এসে হঠাৎ বাসের ভেতর আগুন জ্বলে উঠে। মূহূর্তের মধ্যে তা বাসের ভেতর ছড়িয়ে পড়ে এবং বিকট শব্দ হয়ে পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় যাত্রীরা হুড়াহুড়ি করে নামতে গিয়ে অনেকে সামান্য দগ্ধ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা-জখম হয়। প্রথমে স্থানীয়রা ও পরে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা মো. শাহাদত হোসেন জানান, প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাসের ইঞ্জিন মাত্রাতিরিক্ত গরমে গ্যাস সিলিন্ডার পাইপ ছিদ্র হয়ে আগুন জ্বলে উঠে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিকট শব্দে বাসের সামনের একটি চাকা ও পিছনের দুইটি চাকা বিস্ফোরণ ঘটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে গিয়ে ধাক্কা লাগে। তবে, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়নি বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়ামিন উদ দৌল্লা জানান, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের অভিযানের কারণে মহাসড়কে কিছু সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলে বাসটিকে রেকার দিয়ে টেনে সড়িয়ে নেয়া হয়েছে। এরপর থেকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে গেছে। তবে, ওই দুর্ঘটনা এখন দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি ঘটেনি বলেও জানান ইয়ামিন উদ দৌল্লা।