মগবাজারে ছাত্রীকে ও জয়পুরহাটে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২

Dhorson

 

রাজধানীর মগবাজারের একটি হোটেলে দুই বন্ধু মিলে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে ওই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছাত্রীর বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায়। শনিবার রাতে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আজ দুপুরে ওই ছাত্রীর বাবা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাঁরা দাবি করেন, গতকাল শুক্রবার বিকেলে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে হাসপাতালের ২০২ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেই।’ হাসপাতালে স্বজনরা জানান, ওই ছাত্রী গত দুই মাস ধরে রাজধানীর মগবাজারের একটি হোস্টেলে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কোচিং করছিলেন। শুক্রবার শাওন নামের তেজগাঁও কলেজের এক ছাত্র ওই ছাত্রীকে নোট দেওয়ার কথা বলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। শাওন তাঁর গ্রামের বাড়ির প্রতিবেশী। পরে শাওন ও তার এক বন্ধু মিলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় আজ শনিবার দুপুরে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা। এদিকে, জয়পুরহাট শহরে গত শুক্রবার রাতে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আজ শনিবার দুপুরে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গৃহবধূকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন শহরের মাস্টারপাড়া বালিকা বিদ্যালয় এলাকার আকাশ রাজভর (১৯) ও জীবন রাজভর (১৮)। তবে মামলার অপর আসামি বিপ্লব রায় (২৫) পলাতক। জয়পুরহাট সদর থানার পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ওই গৃহবধূ তাঁর আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার সময় শহরের মাস্টারপাড়া বালিকা বিদ্যালয় এলাকা থেকে বিপ্লব রায়, আকাশ রাজভর ও জীবন রাজভর তাঁকে মাঠে নিয়ে ধর্ষণ করে। আজ শনিবার সকালে ওই গৃহবধূ সদর থানায় গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আকাশ রাজভর ও জীবন রাজভরকে গ্রেপ্তার করে। বিকেলে ওই গৃহবধূ সদর থানায় তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। রাত ৮টা পর্যন্ত পুলিশ মামলার অপর আসামি বিপ্লব রায়কে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এ ব্যাপারে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, গৃহবধূর অভিযোগ পেয়েই পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অপর আসামি পলাতক থাকলেও তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গৃহবধূকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।