ভ্যাকসিন কোল্ড স্টোরেজ’র আওতায় আসছে সমগ্র বাংলাদেশ

IMG_20160204_113331_058

সরকারের সম্প্রসারিত টিকা দান কর্মসূচিতে আরো নতুন ভ্যাকসিন সংযোজনের জন্য ঊনত্রিশ জেলায় ভ্যাকসিন সংরক্ষণ কোল্ড স্টোরেজ করছে সরকার।

প্রথম পর্যায়ে নয়টি জেলায় কোল্ড স্টোরেজ তৈরির কাজ শিগগিরই শেষ হবে। এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শতভাগ শিশুকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার আশা করছে ইপিআই কর্তৃপক্ষ।

শূন্য থেকে এগারো মাস এবং পনের মাস বয়সী শিশুদের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি- ইপিআই এর মাধ্যমে ছয়টি ডোজে এগারোটি টিকা দেয়া হয়। সরকারিভাবে বিনামূল্যে এসব টিকা দেয়ায় ডিফথেরিয়া, হুপিংকাশি, পোলিও, হাম, রুবেলার মত প্রাণঘাতী রোগ থেকে বছরে দু’লাখের বেশি শিশু সুরক্ষা পায়।

প্রাণঘাতী আরো বিভিন্ন রোগ নির্মূলে সম্প্রসারিত টিকা দান কর্মসূচি- ইপিআই বিনামূল্যে নতুন টিকা সংযোজন করছে।  প্রথম পর্যায়ে কিশোরগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কক্সবাজারে ওয়ার্কি কুলার এবং ওয়ার্কি ফ্রিজারসম্বলিত ক্লোড স্টোরেজ করছে সরকার।

ইপিআই এন্ড সার্ভিলেন্স প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. তাজুল ইসলাম এ বারী বলেন, মেডিসিনটা প্লাস টু থেকে প্লাস এইট ডিগ্রী পর্যন্ত রাখতে গেলে আমাদের ২৯টা জেলায় সংরক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। এর প্রয়োজনে আমাদের ২৯টা জেলায় অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে।

ইপিআই কভারেজ মূল্যায়ন জরিপ ২০১৪ অনুয়ায়ী তিরাশি দশমিক পাঁচ ভাগ শিশু ৬টি ডোজে এগারোটি রোগের পূর্ণ টিকা নিচ্ছে। কিন্তু প্রতি বছরই ষোল থেকে বিশ ভাগ শিশু পূর্ণ ডোজে সব টিকা নিচ্ছে না।

ডা. তাজুল ইসলাম এ বারী আরো বলেন, আমাদের দেশে ৮২ শতাংশ শিশু ১১ টি রোগের পূর্ণ টিকা সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে নিয়েছে।

ইপিআই কর্তৃপক্ষ বলছে, কুল চেইন মেনে নয়টি এবং পর্যায়ক্রমে ২৯টি জেলায় ভ্যাকসিনের রিজেন্ট সংরক্ষণে ‘ক্লোড স্টোরেজ’ তৈরি শেষ হলে ঢাকা থেকে ভ্যাকসিনের রি-এজেন্ট পাঠাতে পরিবহন খরচ কমবে। শতভাগ শিশুকে আনা যাবে টিকার আওতায়।