জল ও স্থলে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতার যে সূচনা হয়েছে তাকে মহাকাশে নিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানিয়েছেন, “আমরা দুই দেশ মিলে বিশ্বের সামনে একটি উদাহরণ তৈরি করছি- প্রতিবেশীর সঙ্গে কী ধরনের সম্পর্ক রাখতে হয়; আন্তঃনির্ভরশীল পৃথিবী বাস্তবায়নের পথ কোনটা হতে পারে।” আজ বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি এবং বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রপ্তানি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমনটাই জানিয়েছেন মোদী।
বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলের জন্য বিবিআইএন চুক্তির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, “কিছুদিন আগে আমরা একযোগে রোড কানেক্টিভিটির কাজ শুরু করেছি। আজ আমরা বিদ্যুতের মাধ্যমে নতুন শক্তি তৈরি করছি। একবিংশ শতাব্দীর যে প্রয়োজন, সেই ডিজিটাল কানেক্টিভিটিও একযোগে করছি।
“তার মানে জল-স্থল-নভঃ সব জায়গায় বাংলাদেশ-ভারত একসঙ্গে চলছে আর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।”
মোদী বলেন, “আমি আগেও বলেছি, মহাকাশেও আমাদের একসঙ্গে চলা উচিৎ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট.. ভারতের একান্ত ইচ্ছা, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে এক সঙ্গে চলতে চায়।”
মহাকাশে বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণের লক্ষ্যে ২০১২ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্প নেয় সরকার। এরপর ২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় এ প্রকল্পে। ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণের জন্য প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার ‘স্যাটেলাইট সিস্টেম’ কেনা হচ্ছে ফ্রান্স থেকে। আর বাংলাদেশকে ‘অরবিটাল স্লট’ ইজারা দিচ্ছে রাশিয়া।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হবে বলে সরকার আশা করছে।
ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্যের শুরুতে মোদী ভাঙা ভাঙা বাংলায় বলেন, “প্রথমে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা… একটু দেরি করে জানাচ্ছি। আগামী ২৬ তারিখে আপনাদের জাতীয় দিবস। ভারতের জনগণের তরফ থেকে জানাই অভিনন্দন।”
বাংলাদেশ থেকে ভারতে ব্যান্ডউইথ যাওয়া প্রসঙ্গে মোদী বলেন, “আমাদের জন্য একটি গেটওয়ে খুলছে। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে প্রবেশের আমাদের দুটি গেটওয়ে একটি পশ্চিমে আরকটি দক্ষিণে। আমাদের পুর্বে কিছু ছিল না। পুর্বের গেটওয়ে আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সাথে মিলে পূর্বে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে প্রবেশ করছি।”