প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়নে নগর জুড়ে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করেছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
গত ৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিভাগ ও সিলেট বিভাগের সাথে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেয়র নাছির মশা নিধনে গৃহীত পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে গতকাল ৯ এপ্রিল মেয়র বহদ্দার হাট সংলগ্ন চাক্তাই খাল এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বহদ্দারহাট থেকে চাক্তাই খালের পাড় দিয়ে পায়ে হেঁটে চকবাজার ধুনির পুল এলাকা পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে আমি আশ্বস্ত করেছি, উনাকে কথা দিয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা এ বিষয়টা বিবেচনায় নিয়েছি। মশাকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। চাক্তাই খালসহ অনেক খাল কিন্তু ভরাট।
কোন পানি চলাচল হচ্ছে না। এই বিষয়টা আমি দেড়-দু’মাস আগে থেকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করছে, প্রকল্পের পিডির সাথেও একাধিকবার কথা বলেছি।
উনারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। খালে জমে থাকা স্থির পানি মশার প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করছে। সেটা বন্ধ করা হবে। পাইপ বসিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করে উনারা পানিগুলো ছেড়ে দেবেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্য করোনাভাইরাস জনিত কারণে কাজ পুরোপুরিভাবে বন্ধ। এ অবস্থা কতদিন চলবে জানি না। ফলে খালের পানি আর ছাড়া যাচ্ছে না।
মেয়র বলেন, আজ আমি হেঁটে হেঁটে দেখছি কি অবস্থা। আগামী রোববার সেনাবাহিনীর সাথে আলাপ করে সমন্বিত ভাবে কাজ শুরু করবো। আমাদের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের সাথে নিয়ে জরুরী ভিত্তিতে কাজ করব।
কারণ শুধু ওষুধ ছিটিয়ে এই মশাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। প্রজনন ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে ধ্বংস করতে হবে। ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম চলমান আছে। এটা আরো বেগবান করা হবে। নতুন যন্ত্রপাতি ক্রয় করেছি। মশার ওষুধ কেনার জন্য ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়েছে। কর্মীদেরকে প্রত্যেক দিন কোন কোন ওয়ার্ডে ওষুধ ছিটানো হয়েছে সেটা ছবিসহ মিডিয়ায় দিতে বলেছি তাহলে সেখানে কোনো ফাঁকি থাকবে না।
খাল পরিদর্শনের সময় মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।