পহেলা বৈশাখে বিকেল ৫টার পর থেকে খোলা স্থানে কোন ধরণের অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে পহেলা বৈশাখ, ইসলামী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সম্মেলনের নিরাপত্তা বিষয়ক এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকে র্যাব ও আনসারের মহাপরিচালক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে দুই জন সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ বাঙালির সার্বজনীন উৎসব। গত বছর সরকার এ দিনটি পালনের জন্য সরকারি চাকরিজীবীদের বোনাস দিয়েছে। ফলে দিনটি সমস্ত বাঙালির জন্য আনন্দের ও উৎসবের। এ কারণেই দিনটিকে আমরা নিরাপদ রাখতে চাই। এ জন্য আমরা সভা ডেকেছিলাম। এদিন সারাদেশে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে চাই। তাই বিকেল ৫টার পর দেশের কোন খোলা স্থানে অনুষ্ঠান করা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরুতেই যারা অংশ নেবেন তারাই শেষ পর্যন্ত থাকবেন। মাঝখানে কেউ শোভাযাত্রায় প্রবেশ করতে পারবেন না। এছাড়া শোভাযাত্রায় ভুবুজেলা বাজানো যাবে না, ভয়ের সৃষ্টি করে এমন কোন বিকট শব্দ করা যাবে না, ঢাবি এলাকায় অনুষ্ঠানসূচি পরিচালনার ক্ষেত্রে সবাই সরকারের নির্দেশ মেনে চলবে। ’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওই দিন রমনা বটমূল, টিএসসি, রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তার আওতায় থাকবে। ইভটিজিং রোধে সিসি টিভি থাকবে, সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে, পহেলা বৈশাখে মোটরসাইকেলে এক জনের বেশি আরোহী থাকতে পারবে না।’
স্ত্রীকে মোটরসাইকেলে উঠাতে পারবেন কিনা- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে একজন চলাই মঙ্গলজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারীরা পহেলা বৈশাখের দিন ভ্যানিটি ব্যাগ বহন করতে পারবেন কিন্তু অন্য কোন ব্যাগ নিতে পারবে না।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে মক্কা ও মদিনার দুই জন ইমাম আসবেন ইসলামী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। এছাড়া আইপিইউ সম্মেলনের কারণে ৬/৭ এপ্রিল পর্যন্ত রাজধানীতে বিদেশী অতিথিরা থাকবেন। আর ৬ তারিখে বিভিন্ন এলাকা থেকে আলেমরা ঢাকায় আসবে। তাই সড়ক ব্যস্ত থাকবে। ওই দিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) যাতায়াতের নির্দেশনা দেবে। সেই মোতাবেক রাস্তা ব্যবহারের অনুরোধ করছি।’