জোয়ারের পানিতে ভাসছে চট্টগ্রাম মহানগরীর বেশির ভাগ এলাকা। এতে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই মানুষের।
সড়ক জুড়ে পানি জমে যাওয়ায় বন্দরগরীর অনেক স্থানে ভয়াবহ যানজটেরও সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতার কারণে গণপরিবহনগুলো যেন চলছিলই না।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় সোমবার দিনগত রাতে বন্দরনগরীতে বৃষ্টি হয়। তবে তা থেমে থেমে ভয়ঙ্কর রকমের এক পশলা বৃষ্টি। যা একেবারে অন্যরকম। সেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ও বুধবার বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
সেই সাথে প্রতিদিন দু‘বার প্রবল জোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বন্দরনগরীর দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা পানির নীচে তলিয়ে গেছে।
সূত্র আরো জানায়, এমনিতে স্বাভাবিক জোয়ারে বন্দরনগরীর নিচু এলাকা হাটু পানিতে ডুবে যেত। কিন্তু এবার স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দুই থেকে তিন ফুট অধিক পানি জমে যাচ্ছে। এতে একরকম জলোছচাস সৃষ্টি হচ্ছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, টানা বৃষ্টিতে এবং জোয়ারের প্রভাবে আজ শনিবার সকাল থেকে বন্দরনগরীর দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা পানির নীচে ভাসছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর পতেঙ্গা, হালিশহর, বন্দরটিলা, মাঝিরঘাট, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, সদরঘাট, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, চকবাজার, মুরাদপুর, আগ্রাবাদ, পাহাড়তলি, পাঁচলাইশ কর্ণফুলী এলাকা ভাসছে প্রায় তিন থেকে চার ফুট পানির নীচে।
এছাড়া জেলার উপকুলীয় এলাকা সীতাকুন্ড, আনোয়ারা, বাঁশখালির অধিকাংশ এলাকা পানিতে ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কমর্জীবী ও শিক্ষার্থীদের। ব্যবসা-বাণিজ্যে নেমে এসেছে স্থবিরতা। যানবাহন অচল হয়ে পড়ায় গন্তব্যে পৌঁছাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লুঘুচাপের প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি আকারের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে ভারী বর্ষণ হতে পারে। দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর ও নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।