চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের অপসারণ চায় বিএনপি

bnp-290x163

অস্ত্রসহ গ্রেফতার চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিকে জেল থেকে মুক্ত করতে সহযোগিতা আশ্বাস দেওয়ার চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিনের অপসারণ দাবি করেছে চট্টগ্রাম নগর ও উত্তর জেলা বিএনপি। এজন্য সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বিএনপি।

সোমবার চট্টগ্রাম নগর ও উত্তর জেলা বিএনপি নেতারা যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন একজন সরকারি কর্মকর্তা। দেশের জনগণের দেওয়া ট্যাক্স দিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন দেওয়া হয়। তিনি কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষে কথা বলতে পারেন না।

গত ৭ মে হাটহাজারীর মির্জাপুরে প্রভাব বিস্তার করতে গিয়ে পুলিশ ও বিজিবির হাতে গ্রেফতার হন নুরুল আজিম রনি। নির্বাচনে দায়িত্বরত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রনিকে দুই বছরের কারাদ-ও দিয়েছেন। কিন্তু গত ৮ মে রোববার চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ছাত্রলীগের সমাবেশে গিয়ে রনিকে ছাড়াতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে অনুপ্রাণিত করেছে। যা চট্টগ্রামের শান্তিপ্রিয় মানুষ কামনা করে না।

এছাড়া চট্টগ্রামের বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকারি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ দলীয় লোকজন ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল করেছে। এর দায়ও জেলা প্রশাসক এড়াতে পারেন না। তাই অযোগ্য কর্মকর্তা এবং সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে জেলা প্রশাসক ডিসির চেয়ারকে কলঙ্কিত করেছে। জেলা প্রশাসকের চেয়ারে বসার অধিকার তিনি হারিয়েছেন।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, হাটহাজারীর ১৪ ইউনিয়নে সরকার দলীয় ক্যাডাররা কেন্দ্র দখল, প্রার্থী, এজেন্ট, কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা, ব্যালট ছিনতাই, ভোট প্রদানে বাধাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়েছে। বিএনপির প্রার্থী, নেতাকর্মী ও কর্মী-সমর্থকদের কেন্দ্রের আশেপাশে যেতে দেয়া হয়নি। সরকারের বহিরাগত মাস্তান বাহিনী প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রকাশ্যে ভয়ভীতি দেখিয়ে জনতার উপর গুলি চালিয়ে ভোট কেড়ে নিয়েছে। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক দৃশ্য অতীতে হাটহাজারীবাসী কখনো দেখেনি। ফটিকছড়ি, রাউজান ও নগর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা পুরো হাটহাজারীতে ভোট ডাকাতির তান্ডব চালায়। ভোট ডাকাতি করতে গিয়ে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতারও হয়েছেন। আর এর নেতৃত্বে ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিনকে অপসারণ না করলে বিএনপি কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

বিবৃতিদাতারা হলেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক লায়ন আসলাম চৌধুরী এসসিএ, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা.শাহাদাত হোসেন ও উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী আবদুল্লাহ আল হাসান প্রমুখ।