চট্টগ্রামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র কপিল উদ্দিন হত্যার দায়ে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহেদ মাহমুদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শাহে নূর বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান, একটি ল্যাপটপ নিয়ে বিরোধের জের ধরে নগরীর দামপাড়া জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের পাশে পাহাড়ি জঙ্গলে নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কফিল উদ্দিনকে (২৬) হত্যার দায়ে আদালত তার বন্ধু জাহেদ মাহমুদকে (২৭) ফাঁসির রায় দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ৮ ডিসেম্বর নগরীর কোতয়ালি থানার জমিউতুল ফালাহ মসজিদ এলাকার একটি পাহাড়ে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জাহেদ মাহমুদকে আসামি করে মামলা করার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশি তদন্তে জানা যায়, একটি ল্যাপটপ ও কিছু টাকার জন্য সহপাঠী কফিল উদ্দিনকে খুন করেন জাহেদ মাহমুদ। নিহত কফিল হাটহাজারীর বাসিন্দা। নগরীর ব্যাটারি গলিতে তার বাসা।
পরবর্তীতে জাহেদ মাহমুদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে পুলিশ ২০১২ সালের ৩ মে অভিযোগপত্র দেয়। ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামির উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন বিচারক।