চট্টগ্রাম শুধু বন্দরনগরী নয়, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র, বাণিজ্যিক রাজধানী। এই নগরী প্রবেশ করলো আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন এক অধ্যায়ে। একই ছাদের নীচে সব ব্যবসার সুযোগ করে দিতে যাত্রা শুরু করলো দেশের প্রথম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বা বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র।
নগরীর আগ্রাবাদে ৭৫ কাঠা জমির ওপর, ছয় লাখ ৭৮ হাজার বর্গফুটের এ ভবনে রয়েছে, এক্সিবিশন হল, শপিং মল, ফুড কোর্ট, আইজি জোন, ব্যাংকোয়েট হলসহ সব রকমের আন্তর্জাতিক সুযোগ-সুবিধা। প্রায় দুশ’কোটি টাকা খরচে নান্দনিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত ২৪ তলা ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই কেন্দ্র নির্মাণের মধ্যে দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড আরো জোরদার হবে বলে আশা করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ব্যবসা-বাণিজ্য বা পণ্য উৎপাদন করেন আপনাদের বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ আমরা সৃষ্টি করে দিয়েছি। পাশাপাশি আপনাদের আমি অনুরোধ করবো যে নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করার এবং কোন দেশে কোন পণ্য প্রয়োজন সেটা বুঝে সেটা আমাদের দেশে যাতে উৎপাদন হয়, সেভাবে আপনারা আরও আন্তরিকতার সাথে কাজ করবেন, সেটাই আমরা চাই।
সমুদ্র অর্থনীতিতে যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তা কাজে লাগাতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াতের নাশকতার পরও দেশের অর্থনীতির চাকা চলমান ছিলো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কথা ঠিক বিশ্বায়নের এই যুগে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়। বাংলাদেশ যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারে। আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয় অর্জনকারী একটি জাতি, বিজয় অর্জনকারী দেশ। কাজেই যেই চ্যালেঞ্জই আসুক আমরা মোকাবেলা করতে পারবো।
চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে উদ্বোধন করা হয় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। চট্টগ্রামে সফরে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনও করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, কদমতলী ফ্লাইওভার, বাইপাস রোডের নির্মাণ কাজ এবং রিং রোডের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন লাল খান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজের।