২০১৯ সাল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) প্রশ্ন থাকছে না, এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
৩ মে, বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ যাচাই-বাছাই কমিটির প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই ইঙ্গিত দেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তবে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর লেখার ব্যবস্থা থাকবে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন বিষয়টি স্পর্শকাতর। বিষয়টির একটি পরিবর্তন আসতে পারে। তবে আমরা এখনই সুযোগটা দিচ্ছি না। এমসিকিউ এখন যেরকম আছে— এ, বি, সি, ডি, সেরকম না করে সেটার একটা পরিবর্তন আসতে পারে। আক্ষরিক হতে পারে। এটা টোটালি বন্ধ করে সিকিউতে যেতে হবে। কিন্তু সিকিউ প্রশ্ন একজন ছাত্রের পক্ষে কতটা লেখা সম্ভব, সেটা বিবেচনায় নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার্থীর জন্য সহনশীল হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লেখা সম্ভব হয়, সেটা বিবেচনায় নিতে হবে। সেটা মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার বিষয় নয়। আমাদের মাথায় আছে। সঠিক জায়গায় আগে পরীক্ষামূলকভাবে করবো। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবো।’
এর আগে মো. সোহরাব হোসাইন গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন— ভবিষ্যতে এই পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হবে। শুধু টিক চিহ্ন নয়। দু-এক লাইন হলেও লিখতে হবে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এমসিকিউ আমাদের সামনে চলে এসেছে এবং ছেলেমেয়েদের জন্য এটি কী পরিমাণ বিপজ্জনক হয়েছে। এটাও গার্ডিয়ানরা বুঝতে পারছেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রেস কনফারেন্সে বলেছেন। আপনারা লেখেন জনমত নিয়ে আসেন। আমরা এমসিকিউ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিয়ে শিগগিরই জানাবো। এটাকে কিছু পরিবর্তনও করতে পারি। পরে সিদ্ধান্ত নেবো।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তা, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, মাউশির প্রতিনিধি, র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের অনেকেই এমসিকিউ তুলে দেওয়ার পক্ষে মতামত দেন।