মাত্র ৩৬৮ টি পদের জন্য প্রতিযোগিতা করবেন পিএইচডি ডিক্রি ধারীসহ ইঞ্জিনিয়ারও। এমনটাই ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের সচিবালয়ের পিয়ন পদে নিয়োগ প্রত্যাশীদের।
এই পদের জন্য যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছিল পঞ্চম শ্রেণী পাশ হতে হবে সাথে সাইকেল চালাতে জানতে হবে।
নারী ও প্রতিবন্ধী আবেদনকারীদের জন্য দ্বিতীয় যোগ্যতাটি বাধ্যতামূলক নয়।
কিন্তু এই পদের জন্য যারা আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে ২৫৫ জন পিএইচডি ডিগ্রি ধারী, একলক্ষ ৫২ হাজার গ্রাজুয়েট এবং ৮৪ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ রয়েছে।
আবার এদের মধ্যে অনেক মেধাবীরা রয়েছেন, তিন হাজারের বেশি আবেদনকারী তাদের দশম শ্রেণীতে ৮৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করে।
১৬ হাজার টাকার মাসিক বেতনের এই চাকরীর সার্কুলারটি আগস্টে দেওয়া হয়।
এদের মধ্যে শাচীন কুমার নামে একজন যিনি ইউনিভার্সিটি অব লাখনাউ তে ইলেকট্রনিক্স ও কমিউনিকেশনে পড়াশোনা করেছেন তিনি বলছিলেন কেন তিনি এই চাকরীর জন্য আবেদন করেছেন।
তিনি বলছেনে “তার একটা কারণ আমার কোন চাকরি নেই। আরেকটা কারণ হল সচিবালয়ের কাজ করার দরকার রয়েছে সেটা যতই নিচের দিকের কাজ হোক না কেন”।
শাচীন তার স্কুল ও কলেজ জীবনে অত্যন্ত ভাল মার্কস পেয়ে পাশ করেছিলেন। তিনি অবশ্য অন্যান্য চাকুরীর জন্যও চেষ্টা করছেন।
আরেকজন আবেদন কারী ভিভেক কুমার, গোরাখপুর থেকে এসে দিল্লির একটি সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিতে কাজ করতেন।
কিন্তু তিনি সেই চাকরি ছেড়ে দেন। মাসে আট হাজার রুপি বেতনে তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল জীবন চালানো।
মি. কুমার বলছেন “এখন তার টাকার দরকার কিন্তু তার কোন চাকরি নেই”।
আলক চোরাশিয়া অবশ্য সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন।
তিনি পিএইচডি ডিগ্রীধারী, একবছর ধরে বেকার রয়েছেন।
তিনি বলছিলেন “বাজারে যেখানে কোন চাকরী নেই সেখানে এই চাকরীর জন্য আবেদন করাতে কোন সম্মানহানি হবে না”।
তবে যে যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে তার সাথে মেলে এমন আবেদন পত্র পরেছে ৫৩ হাজার চারশো ২৬ টি।
এদিকে ঐ সচিবালয় প্রশাসনের একজন সচিব প্রভাব মিত্তাল বলছিলেন তিনি এই প্রতিক্রিয়ায় অভিভূত। তবে তিনি বলছিলেন এত আবেদনকারীর পরীক্ষা নিয়ে প্রক্রিয়া শেষ করতে চার বছর সময় লেগে যাবে। সুত্র- বিবিসি