যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুই ইরানি নাগরিক এবং ইরান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এক নৌ সেনার মুক্তির পর বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সাথে সম্পর্কের অগ্রগতির ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন।
ইরানে করোনা আক্রান্ত মার্কিন নৌ সেনা মিশেল হোয়াইট ইরান থেকে মুক্তির পর সুইস সামরিক বিমানে জুরিখ পৌঁছেছেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের এক সিনিয়র কর্মকর্তা তাকে অভ্যর্থনা জানান।
২০১৮ সালের জুলাই মাসে ইরানের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় মাসহাদ নগরীতে সাবেক এই নৌ সেনাকে ইরান বিরোধী প্রচারণা চালানোর অভিযোগে আটক করা হয়।
এই নৌ সেনার মা জোয়ানি হোয়াইট এক বিবৃতিতে বলেন,“দু:স্বপ্নের অবসান হয়েছে এবং আমার ছেলে নিরাপদে বাড়ি ফিরছে এই ঘোষণায় আমি আনন্দিত।”
ট্রাম্প বলেছেন, তিনি হোয়াইটের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন এবং ইরানের অনেক প্রশংসা করেছেন। কয়েক মাস আগেও যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে সর্বাত্মক যুদ্ধের কাছাকাছি পৌঁছেছিলো।
ট্রাম্প টুইটারে লিখেছেন,“ইরানকে ধন্যবাদ, এতে দেখা যায় দেশটির সাথে সমঝোতা করা সম্ভব!”
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বিচারক ইরানিয়ান আমেরিকান ডা. মজিদ তাহেরিকে ইরানে তার পরিবারের কাছে যাওয়ার অনুমতির আদেশের পরে হোয়াইট ইরান থেকে মুক্তি পেয়ে দেশের পথে যাত্রা করেন।
একদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে আটক আরো এক ইরানিয়ান বন্দী বিজ্ঞানী সাইরাস আসগারি মুক্তি পেয়ে ইরানে ফিরেছেন। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একাডেমিক সফরের সময় তিনি গ্রেফতার হন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ জাবেদ জাফরি টুইটারে লিখেছেন, “এটি সকল বন্দীদের ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। ফায়দা নেয়ার চেষ্টার দরকার নাই।