আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের পূর্বে পুলিশ হেফাজতে থাকা বদরুল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য উচ্চস্বরে চিৎকার করেন। একপর্যায়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে বদরুল বলতে থাকেন, ‘আমার ফাঁসি হোক। খাদিজার জয় হোক।’ এ সময় বদরুলকে অনেকটা উদভ্রান্তের মতো দেখা গেছে।
রবিবার দ্বিতীয় দিনে এই মামলায় ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। এর মধ্যে খাদিজার মা-বাবা, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিগ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেটও রয়েছেন।
রবিবার সকাল ১১টা থেকে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা বদরুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন।