বাড়িগুলো লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) রাতে লকডাউনের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন।

ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘খবর পাওয়ার পরপরই নগরীর ফিরিঙ্গি বাজার এলাকার একটি ভবন এবং আকবরশাহ থানা এলাকার দু’টি সেমিপাকা ঘর লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া ওইসব বাসার সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

সিভিল সার্জন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে ২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের একজনের বয়স ৫৩ এবং অন্যজনের বয়স ৩৫ বছর।

তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অভ ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজে (বিআইটিআইডি) মোট ৫০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে মোট ৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে।’

করোনা রোগীদের মধ্যে আগের ৫ জনকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে এবং নতুন ২ রোগীকে বিআইটিআইডিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘ফিরিঙ্গিবাজার শিববাড়ি এলাকায় একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এ বাড়ির সব ফ্ল্যাট লকডাউনের আওতায় থাকবে।’

অন্যদিকে, আকবরশাহ থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ইস্পাহানি চত্ত্বরের গোলপাহাড় এলাকায় দু’টি সেমিপাকা ঘর লকডাউন করা হয়েছে। একটি করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির, অপরটি তার এক আত্মীয়ের।’